সকালে ঢাবিতে ফের সংঘর্ষ, আন্দোলনে অনড় শিক্ষার্থীরা

সকালে ঢাবিতে ফের সংঘর্ষ, আন্দোলনে অনড় শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার সকালে দোয়েল চত্ত্বর ও টিএসসি এলাকায় জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দোয়েল চত্ত্বর ও টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ গিয়ে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দোয়েল চত্বর ছেড়ে গেলে ওই সড়কটিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান।

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনেকদিন থেকেই আন্দোলন করছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিল। গতকাল থেকে সারাদেশে আবারও আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল দুপুরের পর থেকে শাহবাগে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়ে। এ সময় ওই এলাকার সকল রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। দিনের বেলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকলেও রাত আটটার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে নামে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে ৫০ জনের বেশি আন্দোলকারী আহত হয়েছেন।

এরপর শিক্ষার্থীরা পিছু হটে টিএসসি ও দোয়েল চত্ত্বরে অবস্থান নেয়। মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের পাঁচটি হল থেকেও কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নেয়। সেখানেই সারারাত অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা।

সকালে দোয়েল চত্ত্বর ও টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ আবারো অ্যাকশনে যায়। এ সময় রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সর্তকতার সঙ্গে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবস্থানে নিয়েছে।

সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক হাসান আল মামুন ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং পরিষ্কার। সংসদ থেকে কোটা সংস্কারে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস চাই। অন্যথায় আমাদের কর্মসূচি চলতে থাকবে।’

সারাদেশের বিভিন্ন জেলাতেও ইতোমধ্যে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের ৯৭ ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে। আমরা আশা করব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী এ যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় নেবেন।’

এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment